ক্যালিফোর্নিয়ায় এক বাপ, তার ছেলেকে একটু বকা দেয় ছেলে গজগজ করতে করতে পাশের রুমে যেয়ে 911 এ ফোন দিয়ে বলে, “আমি ইনসিকিউরড ফিল করছি” ১০ মিনিট পর পুলিশ এসে বাবাকে চেং দোলা করে থানায় নিয়ে যায়...মুচলেকা দিয়ে বান্দা ১৮ ঘন্টা পরে ছাড়া পায়... তোরা আবার কিসের বাবা দিবস পালন করিস রে? বাবা কি বুঝতে ... আয় আমাদের দেশে আয়
--
আমার ছোটবেলার বন্ধু রবির বাবা আজ ১১ বছর থেকে প্যারালাইজড রবি এই ১১ বছর ধরে প্রত্যেকদিন অফিস শেষ করে বাসায় এসে বাবার খাটের পাশে বসে এশার নামাজ পড়ে ১১ বছর ধরে একই রুটিন তার নামাজ শেষ করে প্রতিবার সালাম
ফিরিয়েই খাটের দিকে তাকিয়ে সে আশা করে বাবাকে হয়ত দেখবে; খাটের উপরে বসতে বসতে বলছে, ‘অনেকদিন শুয়ে ছিলাম রে রবি... চল একটু হেঁটে আসি’ ১১ বছরে প্রায় বারও হাজার বার সে সালাম ফিরিয়ে হতাশ হয়েছে হাল ছাড়েনি ছাড়বেও না সে গত ঈদে আমি তার বাসায় যেয়ে দেখি সে তার বাবাকে সেইভ করিয়ে নতুন পাঞ্জাবী পড়িয়ে রেখেছে তার বাবার চোখের দিকে তাকালে মনে হয়, তিনি হাসছেন... সুখের হাসি এরকম ছেলে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার আমি তার বাবা হলে, হঠাৎ একদিন সুস্থ হয়ে উঠলেও খাটে উঠে বসতাম না... মটকা মেরে পড়ে থাকতাম সবার ভাগ্যে এরকম পুত্র জোটে না রবির আজ ইয়া বড় বড় দাড়ি ... আর তার বাবা, ক্লিন শেভড যে রবিকে এক সময় তার বাবা হাঁটা শিখিয়েছে... আজ সেই ছেলে বামে সালাম ফিরে অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষা করে শোনার জন্য, “একটু হাঁটব, ধর তো... জুতা আছে না ফেলায় দিসস?” এদের কেমিস্ট্রি দেখে আমি মাঝে মাঝে গুলিয়ে ফেলি, কে বাবা আর কে পুত্র ... পৃথিবীটা খুব অদ্ভুত
*(লেখাটা, গতবছর বাবা দিবসে
দিয়েছিলাম
প্রচুর মানুষ দোয়া করেছিল রবির
বাবার জন্য... প্রচুরর মানুষ
আল্লাহ্ ‘হয়তো’ দোয়াগুলো এভাবে
কবুল করেছেন; তার বাবাকে আর কষ্ট
দেননি... তিনি গত নভেম্বরে মারা
যান
এখনও, রবি আগের মতই আছে... ইয়া লম্বা
দাড়ি... প্রতি এশার নামাজের আগে
সে বাসায় এসে পরে
মাঝে মাঝে ভাবি... সন্তানের জন্য;
বাবা মাঝে মাঝে কাছে থাকাটা
যেমন গিফট... তেমনি মাঝে মাঝে
দূরে চলে যাওয়াটাও, বা দূরে
থাকাটাও হয়তো গিফট
কিছু সন্তান ছোটবেলা থেকেই বা একটু
বড় হয়ে বাবাকে পায় না... তারা
কিন্তু জীবনে ঠিকই ঠেকতে ঠেকতে
মেচিউরড হয়ে উঠে এক সময়
যেটা হয়তো, তার বাবা কাছে
থাকলে হয়ে উঠত না
আসলেই খুব অদ্ভুত বাবা-সন্তান
কেমিস্ট্রিটা)
।
।
লেখকঃ আরিফ আর হোসেন