Sunday, June 28, 2015

Father's Day...


ক্যালিফোর্নিয়ায় এক বাপ, তার ছেলেকে একটু বকা দেয় ছেলে গজগজ করতে করতে পাশের রুমে যেয়ে 911 এ ফোন দিয়ে বলে, “আমি ইনসিকিউরড ফিল করছি” ১০ মিনিট পর পুলিশ এসে বাবাকে চেং দোলা করে থানায় নিয়ে যায়...মুচলেকা দিয়ে বান্দা ১৮ ঘন্টা পরে ছাড়া পায়... তোরা আবার কিসের বাবা দিবস পালন করিস রে? বাবা কি বুঝতে ... আয় আমাদের দেশে আয়
--
আমার ছোটবেলার বন্ধু রবির বাবা আজ ১১ বছর থেকে প্যারালাইজড রবি এই ১১ বছর ধরে প্রত্যেকদিন অফিস শেষ করে বাসায় এসে বাবার খাটের পাশে বসে এশার নামাজ পড়ে ১১ বছর ধরে একই রুটিন তার নামাজ শেষ করে প্রতিবার সালাম
ফিরিয়েই খাটের দিকে তাকিয়ে সে আশা করে বাবাকে হয়ত দেখবে; খাটের উপরে বসতে বসতে বলছে, ‘অনেকদিন শুয়ে ছিলাম রে রবি... চল একটু হেঁটে আসি’ ১১ বছরে প্রায় বারও হাজার বার সে সালাম ফিরিয়ে হতাশ হয়েছে হাল ছাড়েনি ছাড়বেও না সে গত ঈদে আমি তার বাসায় যেয়ে দেখি সে তার বাবাকে সেইভ করিয়ে নতুন পাঞ্জাবী পড়িয়ে রেখেছে তার বাবার চোখের দিকে তাকালে মনে হয়, তিনি হাসছেন... সুখের হাসি এরকম ছেলে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার আমি তার বাবা হলে, হঠাৎ একদিন সুস্থ হয়ে উঠলেও খাটে উঠে বসতাম না... মটকা মেরে পড়ে থাকতাম সবার ভাগ্যে এরকম পুত্র জোটে না রবির আজ ইয়া বড় বড় দাড়ি ... আর তার বাবা, ক্লিন শেভড যে রবিকে এক সময় তার বাবা হাঁটা শিখিয়েছে... আজ সেই ছেলে বামে সালাম ফিরে অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষা করে শোনার জন্য, “একটু হাঁটব, ধর তো... জুতা আছে না ফেলায় দিসস?” এদের কেমিস্ট্রি দেখে আমি মাঝে মাঝে গুলিয়ে ফেলি, কে বাবা আর কে পুত্র ... পৃথিবীটা খুব অদ্ভুত
*(লেখাটা, গতবছর বাবা দিবসে
দিয়েছিলাম
প্রচুর মানুষ দোয়া করেছিল রবির
বাবার জন্য... প্রচুরর মানুষ
আল্লাহ্ ‘হয়তো’ দোয়াগুলো এভাবে
কবুল করেছেন; তার বাবাকে আর কষ্ট
দেননি... তিনি গত নভেম্বরে মারা
যান
এখনও, রবি আগের মতই আছে... ইয়া লম্বা
দাড়ি... প্রতি এশার নামাজের আগে
সে বাসায় এসে পরে
মাঝে মাঝে ভাবি... সন্তানের জন্য;
বাবা মাঝে মাঝে কাছে থাকাটা
যেমন গিফট... তেমনি মাঝে মাঝে
দূরে চলে যাওয়াটাও, বা দূরে
থাকাটাও হয়তো গিফট
কিছু সন্তান ছোটবেলা থেকেই বা একটু
বড় হয়ে বাবাকে পায় না... তারা
কিন্তু জীবনে ঠিকই ঠেকতে ঠেকতে
মেচিউরড হয়ে উঠে এক সময়
যেটা হয়তো, তার বাবা কাছে
থাকলে হয়ে উঠত না
আসলেই খুব অদ্ভুত বাবা-সন্তান
কেমিস্ট্রিটা)

লেখকঃ আরিফ আর হোসেন

Saturday, June 27, 2015

অন্যকে ভুল ভাবার আগে



এক শিক্ষক ও ছাত্র 

এক শিক্ষক তার সাত বছরের ছাত্র কাযিমকে জিজ্ঞেস করল, “আমি যদি তোমাকে একটি আপেল, একটি এবং আরও একটি আপেল দিই, তাহলে তোমার কাছে মোট কতটি আপেল থাকবে?”
কযকে সেকেণ্ডের মধ্যেই কাযিম আত্মবিশ্বাসের সাথে উত্তর দিল, “চারটি”।
বিস্মিত শিক্ষক আশা করেছিলেন সহজ ও সঠিক উত্তরটি (তিনটি), তিনি হতাশ হলেন। “কাযিম বোধহয় আমার কথা ঠিকমত বুঝতে পারেনি, ”তিনি মনে মনে ভাবলেন এবং আবার বললেন, “কাযিম মনোযোগ দিয়ে শোন। যদি তোমাকে একটি আপেল, একটি আপেল এবং আরও একটি আপেল দিই, তাহলে তোমার কাছে মোট কতটি আপেল থাকবে?”
কাযিম তার শিক্ষকের চোখেমুখে হতাশার ছাপ দেখতে পেল। সে আবার তার আঙ্গুলে গুণে দেখল। কিন্তু এর মাঝে সে সেই উত্তরটি খুঁজছিল, যা তার শিক্ষককে খুশি করবে। কিছুক্ষণ ভেবে দ্বিধান্বিতভাবে সে উত্তর দিল, “চার”।
শিক্ষকের চোখে মুখে হতাশা রয়েই গেল। তার মনে আসল কাযিম আম পছন্দ করে। তিনি ভাবলেন কাযিম আপেল পছন্দ করে না, আর এটি হয়তো তার মনোযোগ নষ্ট করছে। এবার গুরুত্ব সহকারে ও সামান্য হাসি মুখে জিজ্ঞেস করলেন, “আমি যদি তোমাকে একটি আম, একটি আম এবং আরও একটি আম দিই, তাহলে তোমার কাছে মোট কতটি আম থাকবে?”
শিক্ষকের খুশি খুশি ভাব দেখে কাযিম আবার তার আঙ্গুলে গুণে দেখল। সে কোন চাপ অনুভব করল না এবার, বরং চাপে থাকল তার শিক্ষক। কারণ, তিনি চাইছিলেন তার এবারের প্রচেষ্টাটি সফল হোক।
মুখে সামান্য দ্বিধার হাসি নিয়ে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে কাযিম উত্তর দিল, “তিনটি?”
এবার শিক্ষকের মুখে জয়ের হাসি দেখা দিল। তার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। কিন্তু একটি কাজ এখনও বাকি। তিনি আবার কাযিমকে জিজ্ঞেস করলেন, “এখন আমি যদি তোমাকে একটি আপেল, একটি আপেল এবং আরও একটি আপেল দিই, তাহলে তোমার কাছে মোট কতটি আপেল থাকবে?”
অনুরোধের সুরে কাযিম উত্তর দিল, “চারটি”
শিক্ষক আবার বিস্মিত এবং হতাশ হয়ে পড়লেন। সামান্য বিরক্ত কণ্ঠে তিনি জানতে চাইলেন, “কীভাবে কাযিম?”
মৃদু কণ্ঠে কাযিম জবাব দিল,“কারণ আমার ব্যাগে আগে থেকেই একটি আপেল আছে।”
গল্পের শিক্ষাঃ যখন আপনাকে কেউ কোন ব্যাপারে উত্তর দেয় আর সেটা আপনার আশা করা উত্তরের সাথে না মিলে, তবে ভাববেন না সেটা ভুল। কারণ, তার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আপনি হয়তো ব্যাপারটি ভেবে দেখেননি। তাই প্রতিটি ব্যাপারে আগে মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন, তবে অবশ্যই পূর্বনির্ধারিত ধারণা বা বিশ্বাস নিয়ে নয়। (একটি ইংরেজি গল্পের অনুকরণে) collected from facebook

Tuesday, June 23, 2015

একটি বিজয়, আমার গর্ব, আমাদের "বাঁশউল্লাস"

বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা ভারত এর বিপক্ষে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এ গর্ব আজ ১৬ কোটি মানুষের। আমি উল্লাসিত। আমি আশাবাদী, আমি সুভাকাঙ্কখি। আমার কাছে মনে হয় আমাদের উল্লাস টা কিছুটা খটকা লাগার মতো!!! সাম্প্রতিক সময় এ আমার মত আর একজন বাক্তিকে পেয়েছি যিনি আমার চিন্তা ভাবনার সাথে একমত। তিনি আমার প্রিয় শিক্ষক। আমি ভাল লেখক নই তাই উনার লেখা টা হুবহু কপি করলাম---


"সাম্প্রতিক সময়ে "বাঁশউল্লাস" আমাকে হতাশ করিয়াছে ...এ জাতি কখনই ল্যাং মারিয়া জিতিয়া সুখ লইবার মত অকর্মণ্য নয় বরং সর্বদাই নিজের শক্তিতে বলিয়ান.....ছোট-বড়, শিক্ষক-ছাত্র, ধনী-গরীব, বোকা-বুদ্ধিমান নির্বিশেষে আমাদের বাঁশউল্লাস দেখিয়া মনে হয় যেন খেলিয়া জিতিবার কোনো যোগ্যতাই আমাদের ছিল না....এই সুযোগে অনৈতিক বিপণন প্রচারও শুরু হইয়া গিয়াছে, যাহা জাতিগত সম্প্রীতির পরিপন্থীও বটে!!!!.....খেলোয়াড় সুলভ মানসিকতা শুধুমাত্র জয়ের মাধ্যমে প্রকাশ পায় না বরং অন্যকে পরাজয় মানিয়া লইবার শক্তি অর্জনে সহযোগিতা করা এবং নিজে পরাজয় মানিয়া লইবার সামর্থ্যও আশা করে, যেগুলি জয়ের সামিল বলিয়াই এতকাল জানিয়া আসিয়াছি এবং সেইমতো আচার-আচরণ রপ্ত করিয়াছি.....এক্ষণে যাহা ঘটিতেছে তাহা খেলাধুলার নামে পাড়ায় মহল্লায় ছড়াইয়া পরিলে কী হইবে বাপু ?......অন্যের হৃদয়ে অথবা শরীরে বেদনা সৃষ্টি করিয়া আনন্দ পাইবার মানসিকতা একধরনের মানসিক রোগও বটে....বিস্তারিত জানিতে ক্লিক করুন ......https://en.wikipedia.org/wiki/Sadistic_personality_disorder....... তদুপরি ইহারা নিজের জয়ের আনন্দ উপভোগ করিতে অপারগ ........একে অন্যের বিপদ, কষ্ট ও পরাজয় দেখিয়া আনন্দ পাইতে থাকিলে , পুরো সমাজ এক সময় আনন্দের নামে দুক্ষে ভরিয়া উঠিবে এবং পরাজিত সমাজ ব্যবস্থায় পরিনত হইবে,কারণ "অসুখ" কখনো "সুখের" কারণ হইতে পারে না.........আবার তাহা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহা হইলে তো কথাই নাই.......সাময়িক অসুখ-বিসুখ থাকিলে দ্রুত নিরাময় আমাদের সকলেরই কাম্য, ঠিক যেমনটি মাঠের উত্তেজনায় বাঁশচর্চা করিয়াছিলে সাময়িক,যাহার জন্য কোনো চিকিত্সাই লাগিবার কথা না, বড়জোর প্রাথমিক..... ....সুখের(!) এই মহামারী দেখিয়া এতদিন পরে বুঝিতে পারিলাম কোন বিবেচনায় আমরা একবার পৃথিবীর সবথেকে সুখী জাতির খেতাব পাইয়াছিলাম...যাহার মেরিট লিস্ট-এ আমরা এখনো ভালো অবস্থানে রহিয়াছি...কারণ সুখ(!) অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় অসুখ আমরা অর্জন করিয়াছি এবং পুষিয়া রাখিয়াছি পরম যতনে ......মানুষ বিজয় উপভোগ করিবার জন্য নয়নে-স্বপনে-নিশি-জাগরণে এতটা অবিরাম অশালীন হইতে পারে ? ..এ প্রশ্ন আজ মোকাবেলা করিয়াছি আমার সন্তানের কাছে...কারণ বর্তমান কালের এই বস্তটি সম্পর্কে জানার আগ্রহ তাহার পরিক্ষা প্রস্তুতিকে ছাড়াইয়া গিয়াছে......আমাদের শিশু সন্তানেরা কি শিখিবে এই মহাউল্লাসচর্চা হইতে ? খেলায় জয় বা পরাজয় যেকোনটাই থাকিতে পারে ইহা মাথায় লইয়া, একদা তাহারা সবাই যদি বাঁশ লইয়া মাঠে গমন করে তখন সকল খেলাই পরিণত হইবে "লাঠি খেলায়" ...... বাঁশউল্লাস করিবার অথবা দেখিবার কেহই থাকিবে না ||........হে অভাগারা, তোমরা অসুখের কাছে পরাজিত হইয়া সুখ বঞ্চিত হইয়ো না....সর্বোপরী সুন্দরবনের বাঘকে তোমরা বাঁশবাগানে নামাইও না..." copyright  @ Syed M Rahman Raju copyright  @ Syed M Rahman Raju